বাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার প্রতিবাদ

Published : ১৩:০৬, ৪ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘বাংলাদেশি ভাষায়’ কথা বলছিলেন। বিবৃতিতে সেই ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা (Bangladeshi language)’ বলে উল্লেখ করা হয়, যা মূলত বাংলা ভাষাকে বোঝায়। এই ঘটনাকে ‘অজ্ঞতা ও অবমাননাকর’ বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতের অন্যতম প্রধান ভাষা।
এটি সংবিধান স্বীকৃত এবং কোটি কোটি ভারতীয়র মাতৃভাষা।” একইসঙ্গে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ না করলে তা আরও বড় আন্দোলনের রূপ নিতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ভাষা সংগঠন ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় #BanglaIsIndianLanguage হ্যাশট্যাগে ঝড় ওঠে। অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের মন্তব্য ভারতের বহুত্ববাদী ও ভাষাগত বৈচিত্র্যকে অপমান করার সামিল।
ভারতের সংবিধানে বাংলা ভাষা অষ্টম তফসিলভুক্ত ২২টি স্বীকৃত ভাষার একটি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা, আসাম এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অঞ্চলে বাংলা বহুল ব্যবহৃত। পাশাপাশি এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
দিল্লি পুলিশের এমন মন্তব্য বাংলা ভাষার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিষয়টি শুধুমাত্র একটি ভাষাগত ভুল নয়, বরং একাধিক রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, দিল্লি পুলিশ এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে কি না এবং সরকারিভাবে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয় কি না।