সম্প্রতি পাকিস্তান সৌদি আরবের সঙ্গে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নিরাপত্তা বলয়ে দেশটিকে প্রবেশ করিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে। চুক্তির প্রেক্ষিতে পাকিস্তান–সৌদি ঘনিষ্ঠতা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকেও আকৃষ্ট করছে, যা ন্যাটোর আদলে নতুন মুসলিম জোটের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
চুক্তি ভারতের জন্য উদ্বেগজনক, কারণ সামরিক হুমকি না থাকলেও উপমহাদেশের শক্তির ভারসাম্যে এটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এক দেশের ওপর হামলা মানে উভয় দেশের ওপর হামলা, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব কানওয়াল সিবাল এই পদক্ষেপকে ‘গুরুতর ভুল’ আখ্যা দিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি পাকিস্তানের শক্তি নয়, বরং সৌদি আরবের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ। এটি রিয়াদকে জনশক্তি ও পরমাণু বিমার নিশ্চয়তা দিচ্ছে এবং পাশাপাশি ভারতের ওপর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ তৈরি করছে। তবে সৌদি আরব ভারতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে না, বরং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
চুক্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের অবস্থান শক্তিশালী করবে, যেখানে চীন, তুরস্ক ও সৌদি আরব ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই চুক্তির প্রকৃত প্রভাব সামরিক হুমকির চেয়ে আঞ্চলিক জোট ও কূটনৈতিক সমীকরণে বেশি প্রতিফলিত হবে। পাকিস্তান–সৌদি এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে অর্থনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে।