১০০ টাকার ঘুষ মামলা: ৩৯ বছর পর অবশেষে মুক্তি, হাইকোর্টে নির্দোষ প্রমাণ

Published : ০২:০৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাত্র ১০০ টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে টানা ৩৯ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পরিবহন করপোরেশনের সাবেক বিলিং সহকারী জগেশ্বর প্রসাদ অবস্থি। (খবর- এনডিটিভি)
১৯৮৬ সালে অভিযোগ ওঠে, এক সহকর্মীর বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য তিনি নাকি ১০০ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৪ সালে ছত্তিশগড়ের একটি নিম্ন আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থি হাইকোর্টে আপিল করেন।
সম্প্রতি মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে ছত্তিশগড় হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু দত্ত গুরু বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি প্রসিকিউশন। আদালত উল্লেখ করে, এ মামলায় স্বাধীন সাক্ষীর উপস্থিতি ছিল না, ছায়া সাক্ষী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি ঘুষ গ্রহণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি। এমনকি সরকারি সাক্ষীরাও ঘটনাস্থল থেকে দূরে ছিলেন, ফলে পুরো ঘটনাটিই সন্দেহজনক হয়ে ওঠে।
রায়ে আরও উঠে আসে, জব্দ হওয়া টাকার ক্ষেত্রেও অসঙ্গতি রয়েছে। এটি আসলে একটি ১০০ টাকার নোট ছিল, নাকি দুটি ৫০ টাকার নোট—তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা যায়নি। তাছাড়া অভিযোগ আনার সময় জগেশ্বর প্রসাদের কোনো বিল অনুমোদনের ক্ষমতাও ছিল না।
অবশেষে প্রায় চার দশক পর সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর স্বস্তি প্রকাশ করে অবস্থি বলেন, "এই অভিযোগ আমাকে বছরের পর বছর তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। অবশেষে সত্যের জয় হলো।"
আইন বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে—ন্যায়বিচার পেতে দেরি হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অস্বীকার হয় না।
BD/AN