২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল প্রহসনের: দায় স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

Published : ২১:২৩, ১ জুলাই ২০২৫
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি স্বীকার করেছেন, ২০১৮ সালের সেই নির্বাচন ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএনপি ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করে যেখানে তিন সাবেক সিইসি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতায় থেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদাকে সিইসি হিসেবে নিযুক্ত করে, যার অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতেই ভোট গণনা ও ফল নির্ধারণ করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় পুনঃস্থাপন করা হয়।
কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার দিনই রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে। এর আগে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রহসনের নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
এই স্বীকারোক্তি এবং মামলার ঘটনাপ্রবাহ দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পার