যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা–পাক হাইকমিশনারের বৈঠক

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা–পাক হাইকমিশনারের বৈঠক ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:০৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও চিকিৎসা বিনিময় আরও জোরদার করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। আলোচনায় উভয় পক্ষই দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও বহুমাত্রিক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৈঠকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা নতুন নতুন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এবং এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

ইমরান হায়দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

চিকিৎসা খাত প্রসঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন-সংক্রান্ত একাডেমিক সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সফর, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্বকালেই দুই দেশ নতুন বিনিয়োগ ক্ষেত্র চিহ্নিত করবে এবং যৌথ উদ্যোগ বা জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেবে।

সাক্ষাতে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুই দেশের জনগণ ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও সহজ করবে। বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement