আমির হামজার মন্তব্য প্রসঙ্গে জাবি প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

আমির হামজার মন্তব্য প্রসঙ্গে জাবি প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ছবি: বিজনেস ডেইলি

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৪৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার জামায়াতে ইসলামী নেতা মুফতি আমির হামজা এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি নাকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি আরও অভিযোগ করেন যে আবাসিক হলে সকালে শিক্ষার্থীদের ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে তার এ বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য আখ্যা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের অবস্থান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আমির হামজার বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি জাবির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি ছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে শিক্ষার্থীদের ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে মারধর করে।

জাবি প্রশাসন এসব বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, তার কোনো দাবি-ই বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ওই শিক্ষাবর্ষেই প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সুতরাং, আমির হামজার দাবি যে তিনি এই বিভাগে ভর্তি ছিলেন, তা একেবারেই অসত্য।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়, আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করে, এমন কোনো প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক। একইভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়, এমন মন্তব্যকেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সত্যের অপলাপ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পর্যায়ের একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এ ধরনের ভিত্তিহীন, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য শুধু দুঃখজনকই নয়, অনভিপ্রেতও। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমির হামজাকে বস্তুনিষ্ঠ হতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement