ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।
তিনি বলেন, “মেয়েদের শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামি ম্যামের মতো সাহসী হতে হবে। সাইবার বুলিং ও যৌন হয়রানির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে এমন দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোনামির সম্পাদিত ছবি ছড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং আশফাক হোসাইন ইভান।
শিক্ষিকা মোনামি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি করা হয় রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর একাধিক সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া সামাজিক মাধ্যমে জানান, “মোনামি ম্যাম তার ছবির বিকৃত সংস্করণ পোস্ট করা এবং অশালীন মন্তব্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। আমি আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে সার্বিক সহায়তা করেছি।”
তিনি আরও জানান, মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন বা পোস্টটি শেয়ার করেছেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মুনসুর বলেন, মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে— ১ নম্বর আসামি মুজতবা খন্দকার, ২ নম্বর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ৩ নম্বর নিরব হোসাইন এবং ৪ নম্বর আশফাক হোসাইন ইভান।
এজাহারে আসামিদের ফেসবুক আইডি ও সংশ্লিষ্ট স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে, যারা বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে মোনামির ছবি বিকৃত করে প্রকাশ ও প্রচার করেছে।
শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামি বলেন, “নিয়মিতভাবে আমার ছবি বিকৃত করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে আমি গভীর মানসিক চাপের মধ্যে পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবে ও পরামর্শ নিয়ে শেষ পর্যন্ত মামলা করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।”


































