গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

Published : ১৩:৫৪, ৮ আগস্ট ২০২৫
গাজীপুরে জনসম্মুখে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই মো. সেলিম।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের জিএমপি’র উপ-কমিশনার রবিউল হাসান। বলেছেন, ‘সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই বাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকার ঈদগাহ মার্কেটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩২) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাজ করতেন। গাজীপুরের চান্দনায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ৬-৭ জন যুবক দা ও চাপাতি নিয়ে তাকে জনসম্মুখে ধাওয়া করে। তিনি প্রাণ রক্ষার জন্য দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের চা-পান বিক্রেতা খায়রুল ইসলামের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন।
সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে, গলায়, কাঁধে ও পিঠে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার গলার কিছু অংশ কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় কলকারখানা ছুটি হওয়ায় আশপাশে বহু লোকজনের উপস্থিত ছিল। কিন্তু ভয়ে কেউ তুহিনকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়নি।
নিহত তুহিনের বন্ধু শামিম বলেন, আমরা একসঙ্গেই হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন নারী এক ব্যক্তিকে নাজেহাল করছিল। ওই ব্যক্তি নারীটিকে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করে। তখন তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় সাংবাদিক তুহিন ঘটনাটি দেখে দৌড়ে সাইডে গিয়ে ভিডিও করছিলেন। পরে দুর্বৃত্তরা তুহিনকে ধাওয়া দেয়। তুহিন দৌড়ে পালানোর সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।