বাংলাদেশের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার গল্প

Published : ২৩:৪৬, ৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে চিত্রনায়ক আলমগীরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে। ছবিটি পরিচালনা করেন আলমগীর কুমকুম। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক, কবরী, সুমিতা দেবীসহ তৎকালীন জনপ্রিয় শিল্পীরা। এর মধ্য দিয়েই ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ হয় আলমগীরের, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। আলমগীরের বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ, যিনি দুদু মিয়া নামে পরিচিত, ছিলেন দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক।
চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আলমগীর ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আজীবন সম্মাননাসহ বহু স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তিনি পরিচালক হিসেবেও সফলতা পান; ১৯৮৬ সালে ‘নিষ্পাপ’ পরিচালনার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করেন এবং সর্বশেষ পরিচালনা করেছেন ‘একটি সিনেমার গল্প’। সম্প্রতি তাঁর মেয়ে, সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর ফেসবুকে একটি পোস্টে বাবার চলচ্চিত্রে আসার গল্প প্রকাশ করেন। পোস্টে তিনি তাঁদের ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন রোডের পুরোনো বাড়ির ছবি দিয়ে জানান, বাড়িটি ১৯৫৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ছিল তাঁদের পারিবারিক ঠিকানা। এখানেই আঁখির শৈশব কাটে। বড় উঠোন, বিশাল বাড়ি, পারিবারিক মিলনমেলা, ছাদের ভুতুড়ে গল্প—সবই তাঁর স্মৃতিতে গেঁথে আছে। আঁখির ভাষ্য অনুযায়ী, পুরোনো সেই বাড়ির একটি অংশ ভাড়া নিতে একদিন আসেন পরিচালক আলমগীর কুমকুম। বাড়ি দেখতে গিয়ে তিনি নজর করেন এক সুদর্শন তরুণের দিকে—যিনি ছিলেন আলমগীর।
কুমকুমের কাছে আলমগীরের ব্যক্তিত্ব ও উপস্থিতি এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে, তিনি তাঁকে নায়ক করার সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলেই জন্ম নেয় বাংলাদেশের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র তারকা আলমগীর। কুমকুমই পরে আঁখির নামও রাখেন। বর্তমানে তেজগাঁও স্টেশন রোডের সেই বাড়িটি আর নেই। জায়গাটিতে এখন বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে। তবে আঁখির কাছে সেই পুরোনো বাড়ি এবং এর স্মৃতি এখনো হৃদয়ে অটুট। তিনি লিখেছেন, যত বছরই পেরিয়ে যাক, সেখানে গেলে মনে হয় পুরোনো দিনের বাতাস যেন ছুঁয়ে যায়। বর্তমানে তেজগাঁও স্টেশন রোডের সেই বাড়িটি আর নেই। জায়গাটিতে এখন বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে। তবে আঁখির কাছে সেই পুরোনো বাড়ি এবং এর স্মৃতি এখনো হৃদয়ে অটুট। তিনি লিখেছেন, যত বছরই পেরিয়ে যাক, সেখানে গেলে মনে হয় পুরোনো দিনের বাতাস যেন ছুঁয়ে যায়।
BD/S