তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে তিমুরকে ৮ গোলে হারাল বাংলাদেশ

Published : ১৯:৫১, ৮ আগস্ট ২০২৫
মেয়েদের এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২০ বাছাইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ৪ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা করেছে আরও ৪ গোল। ম্যাচজুড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন আফঈদা-কৃষ্ণারা, ৮ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে মূলপর্বে খেলার আশা উজ্জ্বল করেছে পিটার বাটলারের শিষ্যবাহিনী।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথমার্ধে গোল চারটি করেন মিডফিল্ডার সিনহা জাহান শিখা, মিডফিল্ডার শান্তি মার্ডি, ফরোয়ার্ড নবীরণ খাতুন এবং ফরোয়ার্ড শ্রীমতি তৃষ্ণা। বিরতির পর গোলের শুরু করেন তৃষ্ণা। পরে গোল করেন ফরোয়ার্ড সাগরিকা। ৮২ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। ৯৬ মিনিটে শেষ গোলটি করেন মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার। জয়ে সাউথ কোরিয়াকে সরিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে টেবিল শীর্ষে বাংলাদেশ।
অষ্টম মিনিটে তিমুর দুবার গোলের সুযোগ পেলেও গোলকিপার স্বর্ণা রাণী মন্ডল ও জয়নব খাতুনের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। আগের মিনিটে বাংলাদেশের কাছে সুযোগ আসে গোলের, কাজে লাগানো যায়নি। পরে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে বাটলারের শিষ্যরা।
বাংলাদেশের প্রথম গোল আসে ২০ মিনিটে। কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন মিডফিল্ডার সিনহা জাহান শিখা। বাঁ-কর্নার থেকে স্বপ্না রানীর শট গোলমুখে পড়ার আগে দুর্দান্ত হেডে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি, ১-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। এবার কর্নার থেকে সরাসরি গোল করে এগিয়ে দেন শান্তি মার্ডি। তার বাঁ-পায়ের বাঁকানো শট তিমুরের গোলকিপার বুঝতেই পারেননি। ২-০ করে ফেলে বাংলাদেশ।
তিমুর ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তৃতীয় গোল করে বসে বাংলাদেশ। এবারও বাঁ-কর্নার থেকে শান্তি মার্ডি বক্সের মাঝে বল ফেলেন, দারুণ হেড নেন নবীরণ খাতুন। ৩-০ হয় বাংলাদেশের। বিরতিতে যাওয়ার মিনিটে আরও এক গোল, এবার গোল করেন ফরোয়ার্ড তৃষ্ণা। প্রথমার্ধে ৪-০তে এগিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির আগে গোল দিয়ে তৃষ্ণা ম্যাচ শেষ করার পর ফিরে আবারও গোল করেন। ৫৬ মিনিটে শান্তি মার্ডির ক্রস থেকে আসা বলে গোল করেন, ৫-০ হয় বাংলাদেশের। ৭২ মিনিটে গতম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাগরিকা পান প্রথম গোল। ৬-০তে ব্যবধানে এগিয়ে যায় আফঈদার দল।
শেষদিকে, ৮১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। সাগরিকার পাসে বল পেয়ে ফাঁকা জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ৭-০ হয়। খেলার শেষ মিনিটে লম্বা ফ্রি-কিকে স্বপ্না গোল করেন, বল গোললাইনের ভেতরে পড়ে বেরিয়ে আসে, সেটি রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়, গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে তিমুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন মুনকি আক্তার, ৮-০তে জিতে মাঠ ছাড়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশ।
A