বাংলাদেশের অর্থপাচার চক্রের ৩৫২ বিদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার

বাংলাদেশের অর্থপাচার চক্রের ৩৫২ বিদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:৫৪, ১৭ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার তথ্য উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। সর্বশেষ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ সম্পদ পাচার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৩৪৬টি সম্পত্তি এবং ৯টি দেশের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট কেনা ৩৫২ জন বাংলাদেশির নাম।

রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব। তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমিনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মাল্টা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্কে এসব অবৈধ পাসপোর্ট ও সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে।

সিআইসি জানায়, দেশে বসেই প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর গোয়েন্দা দল বিদেশে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেছে। এতে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল সম্পদ অর্জিত হয়েছে। এ অনুসন্ধান এখনো চলমান এবং যা বেরিয়ে এসেছে তা কেবল “আইসবার্গের শীর্ষভাগ।”

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণে প্রভাব বিস্তার করে গুরুত্বপূর্ণ নথি গোপন বা মুছে ফেলা হয়েছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুছে ফেলা অনেক তথ্য উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে সিআইসি।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুসন্ধানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইসি, পুলিশের সিআইডিসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি নির্দেশ দেন, যতদূর সম্ভব অনুসন্ধান গভীর করতে হবে এবং প্রয়োজনে আরও দেশে তদন্ত বিস্তৃত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি গড়ে তোলার এই প্রবণতা ভয়াবহ দেশদ্রোহিতার শামিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে হলে এই লুটেরাদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারের আওতায় আনা অত্যাবশ্যক। এজন্য সব সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement