অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দিন-রাত টানা অভিযান

নোয়াখালীর সেনবাগে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া বাজার ঘিরে থাকা দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। অভিযানে সহযোগিতা করে সেনবাগ সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন পারভেজ মোশারফের নেতৃত্বে দুই প্লাটুন সেনা সদস্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আক্তার কাউছারী, সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মো. মুরাদ ইসলাম, বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীল আল জান্নাত এবং সেনবাগ থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এ সময় ছাতারপাইয়া পূর্ব ও পশ্চিম বাজারের রাস্তাঘেঁষা অবৈধ স্থাপনাগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া ছাতারপাইয়া বাজার থেকে দক্ষিণের চৌমুহনী খাল, পশ্চিমের সোনাইমুড়ী খাল এবং উত্তরের ছিলাদী খালের ওপর গড়ে ওঠা শতাধিক দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, একসময় এসব খাল দিয়ে বড় বড় সাম্পান নৌকা চলাচল করত। নৌপথে ব্যবসায়ীরা নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। এই খালগুলো দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে রহমখালী খাল হয়ে জেলার অন্যান্য খাল পেরিয়ে মেঘনা নদীতে পড়ত। তবে ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা ও ২০২৫ সালের ভারী বর্ষণে পুরো সেনবাগেই মারাত্মক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এরপর এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছাতারপাইয়া বাজারে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

এর আগে সেনবাগের ছমির মুন্সিহাট, কাবিলপুরে গরিবের ৩০০ ফুট, লালপুর, অর্জুনতলা ইউনিয়নের হাজীরহাট বাজার ও সেনবাগের সেবারহাট বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনো সেনবাগের কেশারপাড় ইউনিয়নের কানকিরহাট ও ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারে উচ্ছেদ অভিযান বাকি রয়েছে। অবিলম্বে ওই বাজারগুলো থেকেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।