নিখোঁজের একদিন পর মেঘনা নদী থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

Published : ২০:৪০, ২২ আগস্ট ২০২৫
নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার (৭১)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে গজারিয়ার কলাগাছিয়া এলাকার চর বলাকিয়ায় নদীতে ভেসে থাকা একটি মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দেয়। পরে নৌ–পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যার দিকে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধারের খবর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। কীভাবে তিনি সেখানে গেলেন এবং মৃত্যুর কারণ কী—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ–পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এক দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। দেহ আংশিক বিকৃত হতে শুরু করেছে, তবে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কলাগাছিয়া নৌ–ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সালেহ আহমেদ পাঠান জানান, দুপুর ২টার দিকে খবর আসে মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে আছে। বিকেল ৩টার দিকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের দেখানো ছবির সঙ্গে মরদেহের চেহারার মিল পাওয়া গেলে রমনা থানা পুলিশকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় গলায় চশমা ঝুলছিল এবং শরীরে কোনো আঘাতের দাগ পাওয়া যায়নি।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানান, বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার বৃহস্পতিবার রাতে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। যেহেতু তিনি মোবাইল ফোন বাসায় রেখেই বের হয়েছিলেন, তাই সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাঁর গতিপথ খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কর্মস্থল বনশ্রীর আজকের পত্রিকা কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। তবে পরে জানা যায়, তিনি অফিসে যাননি এবং মোবাইল ফোনটিও সঙ্গে নেননি।
আজকের পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, ১৬ আগস্ট থেকে বিভুরঞ্জন সরকার সাত দিনের ছুটিতে ছিলেন।
এদিকে, তাঁর ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লেখেন, “আমার দাদা সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার সকাল ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো অফিসে যাবেন বলে বের হন। কিন্তু অফিসে যাননি, পরিচিতজনদের কারও কাছেও যাননি। রাত পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি।”
BD/AN