একসঙ্গে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে

একসঙ্গে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২৩:৪২, ২২ আগস্ট ২০২৫

দেশের আর্থিক খাতে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ৩৫টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এর মধ্যে ৯টি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যে ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে যাচ্ছে, সেগুলো হলো—এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, পিপল'স লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষে আর্থিক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে একাই এই ৯ প্রতিষ্ঠানের দায় ৫২ শতাংশ।

এ বিষয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, “সরকার নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে—এই ৯টি প্রতিষ্ঠান লিকুইডেট করা হবে।” আগামী মাস থেকেই ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০২৩ অনুযায়ী তাদের লিকুইডেশন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

আইন অনুযায়ী, সরকারের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টে আবেদন করে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি আমানত, ঋণ বা ধার পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে কোম্পানি আইনেও আর তাদের রক্ষা করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, পুরো খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ কেবল ১২টি প্রতিষ্ঠানের হাতে কেন্দ্রীভূত। এর মধ্যেই জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০টি এনবিএফআইকে ‘লাল তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করে। সিভিসি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্সসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি অনুযায়ী, ২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯টির জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রথম ধাপে এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গভর্নর আরও বলেন, “আমরা এটা করছি শুধুই আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। লিকুইডেশন হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক লিকুইডেটর নিয়োগ করবে।”

তিনি ইঙ্গিত দেন, ভবিষ্যতে এই তালিকায় আরও প্রতিষ্ঠান যুক্ত হতে পারে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement