দুটি কিডনিই নষ্ট, বাঁচতে চান লক্ষ্মীপুরের কামরুল

Published : ২২:১৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ২৮ বছর বয়সে দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যাওয়ায় বিছানায় কাতরাচ্ছে কামরুল হাসান। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আমজাদ হাজি বাড়ির চটপুটি বিক্রেতা আব্দুর রহিমের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছেন।এর মধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে যায়।
স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে তার ছিল সুখের সংসার কিন্তু হঠাৎ নেমে আসে শোকের ছায়া. দূরারোগ্য রোগে বিবিষিকা নেমে আসে তার পরিবারে।
নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্সে চাকুরি করতেন কামরুল হঠাৎ একদিন প্রচন্ড শরীর খারাপ হয় তার। অসুস্থ শরীর নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করেন শেষে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি এ বিকল হয়ে গিয়েছে।
ডাক্তারের পরামর্শ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে কর্তব্যরত চিকিসৎক জানিয়েছেন।
কামরুলের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার পরিবার বিভিন্ন ব্যাক্তিদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। পরিবারের জমানো সঞ্চয় আর এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় এত দিন তার চিকিৎসা চললেও এখন অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা প্রায় বন্ধের পথে।
স্থানীয়রা জানান, কামরুল হাসান দীর্ঘ এক বছর থেকে অসুস্থ তার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা লাগবে৷ আমরা সহযোগিতার জন্য অনেক ভাবে চেষ্টা করেছি এখনো করছি।বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তার সুচিকিৎসা সম্ভব।
তার স্ত্রী মিশু আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে আমি একটি কিডনি দিতে চাই। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার প্রয়োজোন।সহৃদয়বান ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসলে তার চিকিৎসা করতে পারি।
কামরুল বলেন, আমার নিকট আত্নীয় ও স্থানীয়রা সবাই এতদিন আমার চিকিৎসা চালিয়ে এসেছে এখন তাদের পক্ষে আর চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার ছোট একটি মেয়ে আছে আমি তার জন্য জন্য বাঁচতে চাই। প্রশাসন আর বৃত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে আল্লাহ হায়াত দিলে আপনাদের সহযোগিতায় আমি বাঁচতে পারবো।তাই আপনাদের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, আপনারা সাধ্যমতো আপনাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
BD/AN