ইসরাইলের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া সত্ত্বেও হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন। কাতারের দোহায় দুই দিন আগে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
তবে হামলার কিছুক্ষণ আগে তারা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে অন্য কক্ষে চলে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হামলার সময় কর্মকর্তারা মোবাইল ফোন টেবিলে রেখে অন্য কক্ষে চলে গিয়েছিলেন, যা ইসরাইলি ট্র্যাকিং সিস্টেমকে বিভ্রান্ত করেছে।
সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আশারক আল-আউসাত জানিয়েছে, হামাস কর্মকর্তারা মূল ভবনে নয়, একটি আলাদা বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। এতে করে তারা হামলার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইসরাইলের সূত্র অনুযায়ী, দোহার হামলায় হামাসের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বৈঠক লক্ষ্য করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রধান লক্ষ্য ছিলেন রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়া।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় হামাসের অফিস ভবনকে ইসরাইলি বিমান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে যান।
এই হামলার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। চীন ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আরব বিশ্বও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাতার আগামী রোববার ও সোমবার রাজধানী দোহায় জরুরি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে।
