রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে সহিংস বিক্ষোভে উত্তপ্ত লেহ

Published : ১৬:৫৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের লাদাখে দাবিদাওয়া ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়ায় সেখানে কারফিউ জারি করেছে ভারত সরকার। বুধবার লেহ শহরে রাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও তা দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এতে পুলিশি অভিযানে অন্তত চারজন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেহ অ্যাপেক্স বডি ও কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হলেও কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি সেই অগ্রগতিকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। তাদের অভিযোগ, পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক জনগণকে উত্তেজিত করেছেন এবং নেপালের ‘জেন-জি’ আন্দোলন ও আরব বসন্তের উদাহরণ টেনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন।
সহিংসতার সময় বিক্ষোভকারীরা বিজেপি কার্যালয় এবং হিল কাউন্সিলের দপ্তরে পাথর ছোড়ে। পরে একটি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি সহ বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। বিজেপি কার্যালয়ের নথিপত্র ও আসবাবও পুড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সিআরপিএফ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এসময় অন্তত ৩০ জন পুলিশ ও আধাসামরিক সদস্য আহত হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স চার বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে তাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক ১৫ দিনের অনশন ভেঙে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও আসামের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলো বিশেষ প্রশাসনিক ক্ষমতা পায়। এর আওতায় স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ, আর্থিক ক্ষমতা ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নির্ধারিত হয়। আগামী ৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের মধ্যে আবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
BD/AN