গাইবান্ধায় এক গ্রামেই ১১ ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

গাইবান্ধায় এক গ্রামেই ১১ ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:১৫, ৪ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেল এক গ্রামেই ১১ ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা সবাই রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটাকাটি করেছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাকিরা বাড়িতে রয়েছেন। তাদের সকলের বাড়ী উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজার রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বরে ওই গ্রামের মন্টু মেম্বারের বড় ভাই মাহবুর রহমানের রোগাক্রান্ত একটি গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করেন।

ওই ১১ জন কাটাকাটির কাজে যুক্ত ছিলেন। চার দিন পর ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা দেখা দেয় এবং মাংসে পচন ধরতে শুরু করে। বিশেষ করে হাত, নাক, মুখ ও চোখে এসব উপসর্গ দেখা যায়।

আক্রান্তদের মধ্যে মো. মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, মো. শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, বেলকা ইউনিয়ন থেকে চার—পাঁচজন অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।

তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পৌরসভায় দুটি গরু অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে। সাহাবাজ এলাকায় রোগ দেখা দেওয়ায় সেখানে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ১৩ হাজার টিকা মজুত রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গরু—ছাগলের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ ছিল। বর্তমানে এ রোগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা এবং পৌরসভা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় এরই মধ্যে অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement