সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্সে একদিনে ১০টি গরুর মৃত্যু,এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে

Published : ২১:১২, ৪ অক্টোবর ২০২৫
অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একদিনে ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর শনিবার এসব গরুর মৃত্যু হয়।
অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক গরুর মৃত্যু হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অ্যানথ্রাক্সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে উঠান বৈঠকের পাশাপাশি মাইকিং করছে।
জানা যায়, শনিবার উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের খয়বর হোসেন, বাবুজার মিয়া, চান্দ মিয়া ও মোজা মিয়ার একটি করে ৪টি, পশ্চিম বেলকার শাজাহান মিয়ার ২টি, সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের ফরমান আলীর ১টি, তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মিরগঞ্জ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ২টি ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলুটারি মহল্লার আবদুল মতিনের ১টি গরু মারা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এক হাজারের বেশি গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রচারে বলা হচ্ছে, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশু পরিচর্যা ও জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবাদি পশুর মধ্যে লক্ষণ দেখা গেলে কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না।
হাতে গ্লাভস পরে আক্রান্ত পশুর পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিল্পব কুমার দে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর পাশাপাশি মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে।
এ জন্য পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে রোগটি সম্পর্কে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় করা হচ্ছে। শনিবার ১০টিসহ সুন্দরগঞ্জে ১১ গরুর মৃত্যু হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বলেন, অ্যানথ্রাক্স নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আক্রান্ত গবাদি পশু পরিচর্যায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জবাই কিংবা মাংস কাটাকাটি করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং টিম গঠন করেছে। টিমের সদস্যরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ছাড়াও মানুষকে রোগটির বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করছেন।
বিডি/এএন