তৃতীয় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আলমগীরের চরম সিদ্ধান্ত

Published : ২২:৫৭, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর গ্রামে স্ত্রীর ও পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আলমগীর হোসেন (৩৮) নামের এক প্রবাসফেরত যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোরের দিকে নিজ ফুফুর বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর ওই গ্রামের নমাজ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীর দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তবে কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর দেশে ফিরে আলমগীর তৃতীয়বার বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু পরিবার থেকে কেউ তাতে সম্মতি না দেওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
প্রথম স্ত্রী আনজিরা খাতুন জানান, “আমাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। আলমগীর দেশে ফিরে আবার বিয়ের কথা বললে পরিবারের সবাই আপত্তি জানায়। এতে সে রাগ করে ফুফুর বাড়িতে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো এক সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।”
নিহতের বাবা নমাজ আলী বলেন, “আমরা সবাই তাকে অনেকবার বুঝিয়েছি যে সংসারে স্ত্রী-সন্তান থাকা অবস্থায় আবার বিয়ে করা ঠিক নয়। কিন্তু সে তা মানেনি। সকালে খবর পাই, ফুফুর বাড়ির ঘরে সে ফাঁস দিয়েছে।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক অশান্তি এবং মানসিক চাপই আলমগীরের মৃত্যুর মূল কারণ হতে পারে। পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত আলমগীরের চলতি মাসের ২২ তারিখ আবারও বিদেশে ফেরার কথা ছিল।
বিডি/এএন