পুলিশের ছদ্মবেশে বাসায় হামলা ও লুটপাট

Published : ০১:৫৭, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি এক পরিবারের বাড়িতে ঢুকে হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায়। ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ও আহতরা হলেন— মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৪৫) এবং তার দুই ছেলে, সাইফুল হাসান (২০) ও সিফাত হাসান (১৮)। অন্যদিকে, মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— রেজাউল করিম সুজন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রাশেদা বেগম, সবুজ, বাবু ওরফে মুরগি বাবু, আরাফাত ইয়াসিন, শফিক, মোহন, সজিব বাবুর্চি, তরিকসহ মোট ২৫ থেকে ৩০ জন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৮টার দিকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল জোরপূর্বক ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা প্রথমে বাসার প্রধান ফটকের কেঁচি গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে, এরপর রুমের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এক মহিলা এবং দুই যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “সকাল ৮টার দিকে আমরা ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। বাসার প্রধান ফটকের কেঁচি গেট ভেঙে তারা ভেতরে ঢোকে। রুমের দরজা ভেঙে আমাদের রুমে প্রবেশ করলে আমার ছোট ছেলে সিফাত ও বড় ছেলে হাসানকে মারধর করে আহত করা হয়। পরে আমাদের এক রুমে আটকে রেখে ট্রাক ভরে বাসার ফ্রিজ, খাট, নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরসহ সব মালামাল নিয়ে চলে যায়। আমরা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পরে আহত অবস্থায় আমাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা সবাই মাস্ক পরিহিত ছিল। তবে ১০ থেকে ১২ জনকে তারা চিনতে পেরেছেন। তাই মাকসুদা আক্তার মুক্তা ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত জমি সংক্রান্ত দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি পক্ষ নিজেদের উচ্ছেদ করার জন্য এ ধরনের হামলা চালিয়েছে। ভুক্তভোগীরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।”
বিডি/এএন