যে ৮টি সতর্ক সংকেত দেয় শরীর হার্ট অ্যাটাক আসার আগে

যে ৮টি সতর্ক সংকেত দেয় শরীর হার্ট অ্যাটাক আসার আগে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:৪১, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

অনেকেই মনে করেন হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ ঘটে। তবে চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের হৃদপিণ্ড আসলে আগেই শরীরকে সতর্ক সংকেত পাঠায়।

সমস্যার মূল কারণ হলো আমরা এই ইঙ্গিতগুলোকে সাধারণ অসুস্থতা ভেবে উপেক্ষা করি। অথচ যদি সময়মতো সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাকের আগাম ৮টি সতর্ক সংকেত:

১. বুকে চাপ বা অস্বস্তি: হঠাৎ বা কিছু সময়ের জন্য ভারী লাগা, চাপ ধরা বা পুড়ে যাওয়ার মতো ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি বারবার ফিরে আসতে পারে।

২. ব্যথা ছড়িয়ে পড়া: শুধু বুকে নয়, কাঁধ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা উপরের পেটেও ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাঁ হাতে ব্যথা থাকলে সতর্ক থাকা জরুরি।

৩. শ্বাস নিতে কষ্ট: হঠাৎ হাঁপিয়ে যাওয়া, বিশ্রামের সময়ও শ্বাসকষ্ট বা অস্বস্তি অনুভব করা হার্টের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

৪. ঠান্ডা ঘাম: স্বাভাবিক পরিবেশে অস্বাভাবিকভাবে ঘেমে যাওয়া, বিশেষ করে বুকে চাপ বা দুর্বলতার সঙ্গে হলে তা সতর্কতার সংকেত।

৫. বমিভাব বা পেটের অস্বস্তি: অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করা হয়, তবে হার্ট অ্যাটাকের আগেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি আরও সাধারণ।

৬. মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম লাগা: হঠাৎ মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা বা ভারসাম্যহীনতা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

৭. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: সামান্য কাজেই অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হাঁপিয়ে যাওয়া হার্ট সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

৮. হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া: হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে চলা, বিশেষ করে বুকে ব্যথার সঙ্গে মিলিত হলে অবহেলা করা যাবেনা।

করনীয় পদক্ষেপ:

এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান।

ঘরে অ্যাসপিরিন থাকলে এবং অ্যালার্জি না থাকলে চিকিৎসকের নির্দেশে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন, বিশেষ করে বয়স ৪০-এর বেশি হলে বা পরিবারের মধ্যে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসা নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও জটিলতা অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই শরীরের দেওয়া সতর্ক সংকেতগুলো উপেক্ষা না করে সচেতন থাকা জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বড় উপায়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement