ফের আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক

Published : ১৪:২৭, ১৭ মে ২০২৫
এবার ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কারিগরি বোর্ডের অধীন দেশের সরকারি-বেসরকারি সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। রোববার (১৮ মে) এ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, ১৮ মে হাইকোর্টে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য তারা মাঠে নেমে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে। পরে শুনানির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ মে। কারিগরি ছাত্র সমাজ পূর্বের রায়কে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এ মামলার রায় সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে বাতিল দাবি করছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের মূল কাজ হলো ল্যাব পরিচালনায় সহায়তা ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তারা এসএসসি অথবা এইচএসসি ভোকেশনাল পাস। এ যোগ্যতায় তারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অক্ষম এবং অযোগ্য। তাই শিক্ষক পদে তাদের পদোন্নতি অযৌক্তিক।
তাদের জন্য মন্ত্রণালয় ভিন্নভাবে চিন্তা-ভাবনা চালাচ্ছে যে, কীভাবে তাদের তাদের সিস্টেমে প্রমোশন দেওয়া যায়। তারাও তাদের সিস্টেমে প্রমোশন পাবেন। এ বিষয়ে সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রমোশন পাওয়ার অধিকার সবার আছে। তবে সেটা হতে হবে যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (শিক্ষক) পদে পদোন্নতির জন্য ভিন্ন কোনো মানদণ্ডে বা বাছাই ছাড়া সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। শিক্ষকদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদটি কেবল ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে বাছাইকৃত হয়ে নিয়োগ পান। যারা এ পদে আসতে চান, তারা নির্দিষ্ট যোগ্যতা নিয়ে পিএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে আসুক।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশেষভাবে এ পদে কারও পদোন্নতি নিয়ে আসার সুযোগ নেই। আমরা চাই, আগামীকাল হাইকোর্ট এ মামলাটি বাতিল করে দিয়ে কারিগরি শিক্ষার স্বচ্ছতা ও মান রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।
বিডি/ও