ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই শিক্ষার্থীরা পাবে এই বিরতি, আর নতুন বছরের শুরুতেই আবার খুলবে প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে নিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে পাঠদান শুরু করবে তখনই।
শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন—এই তিন উপলক্ষ্যের ছুটিগুলো মিলিয়ে বছরের শেষ সময়টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাটাবেন ছুটিতে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়
২০২৫ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট ৭৮ দিনের ছুটি নির্ধারিত ছিল, যার মধ্যে বিদ্যালয় প্রধানের অনুমোদিত তিন দিনও অন্তর্ভুক্ত। বছরের শেষভাগের দীর্ঘ ছুটির মাধ্যমেই এই ছুটির তালিকা সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস ও বড়দিন উপলক্ষে ছুটি শুরু হবে ১১ ডিসেম্বর থেকে এবং শেষ হবে ২৫ ডিসেম্বর। এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে দিবসটি পালনের নির্দেশনা রয়েছে।
এ ছাড়া ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটি শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। তার আগে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর (শুক্র ও শনিবার) নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা টানা ছুটির সুযোগ পাচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ছুটি শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
ছুটি শেষে ঠিক ২৮ ডিসেম্বর থেকেই আয়োজন করা হয়েছে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা, যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ ক্ষেত্রেও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি–বেসরকারি কলেজ
দেশের সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোর ছুটি শুরু হচ্ছে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। এর আগের দুই দিন (১২ ও ১৩ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। কলেজগুলো আবার খুলবে ২৮ ডিসেম্বর। কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিজয় দিবসে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দিবসটি উদযাপন করবেন।
কারিগরি শিক্ষা ও মাদরাসা
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি মাদরাসায় (এবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিলসহ সব স্তরে) ছুটি শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর, আর আগের দুই দিন থাকবে নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটি।
মাদরাসাগুলো খুলবে ২৮ ডিসেম্বর। একই সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষায়ও দুই ধাপে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে।
সর্বোপরি, ডিসেম্বরের এই লম্বা বিরতি শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের শেষ প্রান্তে একটি প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, আর নতুন বছর শুরুর আগে পাঠদান প্রস্তুত করার সুযোগ এনে দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।


































