ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

Published : ১৯:০৮, ২৭ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি মেট্রোরেল স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডবে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, দুর্বৃত্তরা জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা সেসব স্থাপনায় হামলা করেছে যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী ছিল এবং সেগুলোই হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল। এটা আমার জন্য খুবই হৃদয়বিদারক।
সরকারপ্রধান বলেন, গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার দেশের ব্যবসায়ীরা আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের আসন্ন ইপিএ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। সংলাপের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি সংলাপ সফলভাবে অনুষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রদূত।
কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও চোখের জল জড়িত ছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
বিডি/এন