এবার বাংলাদেশের দুই খাতের সংস্কার পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ

এবার বাংলাদেশের দুই খাতের সংস্কার পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১১:২৩, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ।

এই ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য খুব শিগগিরই ঢাকা সফরে আসছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। এবার তারা মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে— রাজস্ব ও আর্থিক খাতে— চলমান সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।

তিনি জানান, আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরবর্তী পর্যবেক্ষণ পর্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম বিশেষভাবে পর্যালোচনায় আসবে। “আমরা এবার রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের সংস্কার—এই দুই বিষয়ের অগ্রগতি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করব,” বলেন কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে রাজস্ব কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের দুর্বল দিকগুলোতে সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে। কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে সরকারকে এ দুই খাতেই ধারাবাহিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”

একই দিনে প্রকাশিত আইএমএফের ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে ফিরতে পারে। এ সময়ে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে আগের অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে আসতে পারে এবং এর পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে পৌঁছাবে।

তবে আইএমএফ সতর্ক করেছে যে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর এবং মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়া এখনও চ্যালেঞ্জের মুখে। এছাড়া, প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, এবং বাণিজ্য প্রবাহে সম্ভাব্য ব্যাঘাত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক এই সংস্থাটি মনে করছে, যদি বাংলাদেশ রাজস্ব ও আর্থিক খাতের সংস্কারে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে এবং অভ্যন্তরীণ নীতি-সমন্বয় জোরদার করে, তবে আগামী দুই অর্থবছরে অর্থনৈতিক স্থিতি আরও উন্নত হতে পারে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement