টি-ব্যাগ থেকে শরীরে ঢুকছে ক্ষতিকর প্লাস্টিক কণা, ঝুঁকিতে মানবস্বাস্থ্য

টি-ব্যাগ থেকে শরীরে ঢুকছে ক্ষতিকর প্লাস্টিক কণা, ঝুঁকিতে মানবস্বাস্থ্য

TheBusinessDaily

Published : ২১:৫১, ১০ জুলাই ২০২৫

টি-ব্যাগ দিয়ে চা বানানো যেমন সহজ, তেমনি এখন তা হয়ে উঠছে এক নতুন স্বাস্থ্যঝুঁকির উৎস। সম্প্রতি বার্সেলোনার অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাণিজ্যিক টি-ব্যাগ থেকে নির্গত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রো ন্যানোপ্লাস্টিক কণা, যা মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বরকেমোস্ফিয়ারনামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় জানানো হয়, বাজারে সহজলভ্য ব্র্যান্ডের টি-ব্যাগগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে নাইলন-, পলিপ্রোপিলিন সেলুলোজযা চায়ের পানিতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা ছাড়ে। এসব কণা অন্ত্রের কোষে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোষের নিউক্লিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এতে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী প্রতি মিলিলিটার চায়ে নির্গত প্লাস্টিক কণার পরিমাণ: পলিপ্রোপিলিন: . বিলিয়ন কণা, সেলুলোজ: ১৩৫ মিলিয়ন কণা, নাইলন-৬: ৮.১৮ মিলিয়ন কণা, গবেষক আলবা গার্সিয়া-রদ্রিগেজ জানান, নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে তারা এই ক্ষুদ্র কণাগুলোর উপস্থিতি ও প্রভাব নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য দরজা খুলে দেবে।

স্বাস্থ্যঝুঁকির ধরন: কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা , জেনেটিক উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মিউটেশন প্রদাহ দীর্ঘমেয়াদি ক্যানসারের সম্ভাবনা । বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব: বাংলাদেশে টি-ব্যাগের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। সাধারণ পাতা চায়ের ঝামেলা এড়িয়ে অনেকে টি-ব্যাগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু গবেষণার এই ফলাফল দেশের মানুষের জন্য নতুন এক সতর্কবার্তা। প্রতিরোধের উপায়: পাতা চা ব্যবহার করা, ধাতব বা কাপড়ের প্রাকৃতিক ছাঁকনি ব্যবহার পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি টি-ব্যাগ বাছাই,  টি-ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো , চা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অংশ হলেও এর নিরাপদ উপভোগ নিশ্চিত করতে চাই সচেতনতা সঠিক অভ্যাস।

গবেষকেরা মনে করেন, মাইক্রো ন্যানোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করে নীতিমালা তৈরি করা জরুরি, যাতে জনস্বাস্থ্য রক্ষা পায়। স্বাস্থ্য সচেতনতা বিকল্প ব্যবহারের মাধ্যমে এই অদৃশ্য হুমকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর সেজন্য প্রয়োজন তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত অভ্যাসে পরিবর্তন।

BD/S

শেয়ার করুনঃ
Advertisement