বয়স কমানোর রহস্য কি তবে তরুণ রক্তেই?

Published : ১১:১৩, ১৬ আগস্ট ২০২৫
মানুষের বার্ধক্য রোধে বিজ্ঞানীরা যুগ যুগ ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রূপচর্চা, নিয়মিত যত্ন কিংবা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সাময়িকভাবে ত্বককে সতেজ রাখলেও বয়স থামানো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি জার্মানির বেইয়ের্সডর্ফ এজি সংস্থার গবেষকরা এক নতুন পরীক্ষা চালিয়ে বার্ধক্য রোধে সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছেন।
গবেষকরা মানুষের ত্বকের একটি কৃত্রিম মডেল তৈরি করে তাতে তরুণ রক্তের সিরাম প্রয়োগ করেন। প্রথমে তাতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে অস্থিমজ্জা কোষ যুক্ত করার পর ত্বকের কোষের বয়স হ্রাসের লক্ষণ দেখা দেয়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, অস্থিমজ্জা কোষ এবং তরুণ রক্তরস একত্রিত হলে বিশেষ এক পরিবেশ তৈরি হয়, যা কোষ পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ রক্তরস এবং অস্থিমজ্জা কোষের সংস্পর্শে ত্বক নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ প্রক্রিয়ায় ৫৫ ধরনের প্রোটিন উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে অন্তত সাতটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিজ্ঞানীরা জানান, এই প্রোটিনগুলো ত্বকের কোষ পুনর্গঠন, মসৃণতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্বক হলো মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ, যা বার্ধক্যের প্রভাব সবচেয়ে আগে দৃশ্যমান করে। ফলে ত্বকের বয়স কমাতে সক্ষম হলে সার্বিকভাবে মানুষের বার্ধক্য প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আসতে পারে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি এখনো প্রাথমিক গবেষণা। দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর ফলাফল পেতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। তবে যদি গবেষণাটি সফল হয়, তবে ভবিষ্যতে বার্ধক্য রোধে এটি যুগান্তকারী সমাধান হয়ে উঠতে পারে। এতে বৃদ্ধ বয়স আরও স্বাস্থ্যকর, সতেজ ও সবল হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
BD/EL