১০১ বছর বয়সেও যৌবন ধরে রাখা সম্ভব, জানালেন পুষ্টিবিদ জন স্কার্ফেনবার্গ

Published : ০০:৪৬, ২১ আগস্ট ২০২৫
যেখানে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা বার্ধক্য ঠেকাতে গবেষণায় ব্যস্ত, সেখানে ১০১ বছর বয়সী পুষ্টিবিদ জন স্কার্ফেনবার্গ দেখালেন, সাধারণ জীবনযাপনেই বয়সকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া সম্ভব।
আমেরিকার খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য গবেষক জন স্কার্ফেনবার্গ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও গবেষণায় নিয়োজিত। শতবর্ষেও তিনি সুস্থ, চনমনে এবং কর্মক্ষম।
সম্প্রতি ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কোনো অ্যান্টি-এজিং ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই সাধারণ জীবনধারার মাধ্যমে তিনি যৌবন ধরে রেখেছেন। তিনি শেয়ার করেছেন সাতটি সহজ, কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি—
ধূমপান ত্যাগ – নিকোটিন ও তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা। ধূমপান না করলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের হয় এবং কোষ পুনর্গঠন শুরু হয়।
মদ্যপান বন্ধ – মদ্যপান হৃদরোগ, কিডনি, লিভার ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। কম বয়স থেকেই এ অভ্যাস ত্যাগ করলে বার্ধক্যে নানা জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নিয়মিত শরীরচর্চা – জিম না গেলেও হাঁটাহাঁটি, বাগান, সাঁতার বা যোগাভ্যাসের মাধ্যমে ফিট থাকা সম্ভব।
রাতের খাবার এড়ানো – রাতে উপোস করলে পাকস্থলী বিশ্রাম পায়, বিপাক উন্নত হয় এবং ইনসুলিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিরামিষ আহার – উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফল, শাকসবজি, বাদাম ও বীজ খেয়ে শক্তি বজায় রাখা যায়।
চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়ানো – হরমোন ভারসাম্য ঠিক রাখতে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
জাঙ্ক ফুড বর্জন – ট্রান্স ফ্যাট, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে।
ড. জন স্কার্ফেনবার্গের মতে, এই সাধারণ জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করলে দীর্ঘ জীবন, সুস্থতা এবং যৌবনের শক্তি ধরে রাখা সম্ভব।
BD/AN