আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম আবারও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন, diesmal তার দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের পর দুধ দিয়ে গোসল করার কারণে।
এই বিষয়টি যেমন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, তেমনি অনেকের মধ্যে প্রশ্নও জাগিয়েছে—দুধ দিয়ে গোসল করা কি সত্যিই কার্যকর? চলুন, জেনে নিই দুধের গোসল শরীর ও ত্বকের জন্য কী ধরনের প্রভাব ফেলে।
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসল করার প্রথা বহু পুরনো। এটি হিন্দু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে শুধু ভারতেই নয়, প্রাচীন রোমান ও মিশরীয় সভ্যতাতেও দুধের গোসলের উদাহরণ পাওয়া যায়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা, যিনি তার সৌন্দর্যের জন্য দুধের গোসল ব্যবহার করতেন।
এই ঐতিহ্য ও বিশ্বাস ছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞান ও ত্বক বিশেষজ্ঞরা দুধের গোসলের কিছু বাস্তব উপকারিতা স্বীকার করেছেন:
১. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
দুধে থাকা প্রাকৃতিক চর্বি ও প্রোটিন ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত দুধ দিয়ে গোসল করলে ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘসময় ধরে রাখা সম্ভব।
২. রোদে পোড়া ভাব কমায়
দুধে ভিটামিন এ ও ডি রয়েছে, যা সূর্যের তাপ ও ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য দুধের গোসল জ্বালা ও কালচে ভাব কমাতে সহায়ক। অ্যালোভেরা মিশিয়ে নেওয়ার ফলে এই উপকারিতা আরও বাড়ানো যায়।
৩. মৃত কোষ দূর করে
দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটরের মতো কাজ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে, ফলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
৪. ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে
দুধে থাকা এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রঙ সমান করে, কালচে ভাব কমায় এবং রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এর ফলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
দুধ দিয়ে গোসল করার পদ্ধতি:
প্রথমে বাথটাব বা বালতি কুসুম গরম পানি দিয়ে ভরে নিন। চাইলে গরম পানিতে নিমপাতা ও তুলসির পাতা জ্বাল দিতে পারেন। এরপর পরিমাণমতো দুধ ও গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে নিন। ২০–৩০ মিনিট ওই পানিতে ডুব দিয়ে থাকুন। সপ্তাহে ২–৩ বার দুধ দিয়ে গোসল করলে ত্বকের যত্নে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এইভাবে দুধ দিয়ে গোসল শুধুমাত্র একটি প্রাচীন ঐতিহ্য নয়, বরং এটি ত্বকের জন্য বাস্তবিক উপকারিতা প্রদান করে। হিরো আলমের এই ভিডিওর মাধ্যমে অনেকেই আবারও দুধের গোসলের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন।

































