অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতাদের সমর্থনে কৃতজ্ঞ তারেক রহমান
Published : ০০:১৪, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একাধিক সংসদ সদস্য।
নির্বাচনের আগে এমন আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ায় তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই কৃতজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান লেখেন, তিনি নিজে ও বহু বাংলাদেশির পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ান সাংসদদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন—কারণ তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সৎ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তাদের এই ইতিবাচক উদ্যোগ সর্বজনীন গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার এবং বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে তাদের সচেতন ভূমিকার প্রমাণ।
তিনি আরও লিখেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এসব উদ্বেগ সেইসব নাগরিকদেরই বহিঃপ্রকাশ, যারা কেবল স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ চান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব পক্ষের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাংসদরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন তা সবার অংশগ্রহণে, স্বচ্ছভাবে এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশে পরিচালিত হয়।
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা খুব আন্তরিকভাবে এসব উদ্বেগ আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরছেন। অস্ট্রেলিয়ান সমাজে তাদের অবদান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের সহযোগিতাকে আরও ফলপ্রসূ করেছে। দেশের প্রতি তাদের টান ও সমর্থনের কারণেই বাংলাদেশের বাস্তবতা ও প্রত্যাশা বিশ্বব্যাপী আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রের প্রতি বৈশ্বিক অঙ্গীকার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা—সব দেশ একসঙ্গে কাজ করলেই শান্তি, ন্যায়বিচার ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
বিডি/এএন































