ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুল কতটা উপকারী: বিশেষজ্ঞের মত

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুল কতটা উপকারী: বিশেষজ্ঞের মত ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০২:৩৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের নানা সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি বহু বছর ধরে একটি সহজলভ্য ঘরোয়া সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আয়ুর্বেদেও গ্যাস, পেটফাঁপা, অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি সুপরিচিত। তবে অনেকেই জানেন না—এই সাধারণ ভেষজ উপাদানটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও সমানভাবে কার্যকর হতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভূমিকা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইসবগুলের শরবত বেশ উপকারী। ইসবগুল ভুসিতে থাকা ‘জিলাটিন’ জাতীয় উপাদান শরীরে গ্লুকোজ শোষণ ও ভাঙার গতি কমিয়ে দেয়। এতে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়তে পারে না। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তে জমতে বাধা দেয় এবং ইনসুলিন নিঃসরণের প্রক্রিয়াকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতেও সহায়তা করে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে উপকারী

ইসবগুল ডায়রিয়া ঠেকাতেও ভালো ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে—

দইয়ের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে পেটের সংক্রমণ কমে

দইয়ের প্রো-বায়োটিক উপাদান পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে

ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করে, ফলে ডায়রিয়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে

তাদের পরামর্শ, ডায়রিয়া হলে দিনে দুইবার ভরা পেটে তিন টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে দুই চা চামচ ইসবগুল ভুসি খেলে উপকার পাওয়া যায়। আমাশয়ের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর।

রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা

ইসবগুলের ভুসি অন্ত্রে একটি স্তর তৈরি করে, যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) শোষণে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগীদের জন্য তাই এটি খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।

অন্ত্র পরিষ্কার ও ওজন নিয়ন্ত্রণ

ইসবগুল শরীরের জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে অন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হজমক্রিয়া সক্রিয় হয়। একই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও এটি উপকারী।

বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, দৈনিক ৫ থেকে ১০ গ্রাম বা ১–২ চা চামচ ইসবগুল ভুসি খাওয়া যেতে পারে। তবে নিয়মিত গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, কারণ ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগে ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে এর প্রভাব ভিন্ন হতে পারে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement