সদরঘাটে জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১

Published : ১১:৪৮, ৮ আগস্ট ২০২৫
পুরান ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের অন্তত ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সদরঘাট টার্মিনালের ১ নম্বর ঘাটে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা লঞ্চটি ঘেরাও করে ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কিরণ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোতোয়ালি জোনের এসি ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, জবি ফিন্যান্স বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাবিল বরিশালগামী সুন্দরবন-১২ লঞ্চে উঠলে লঞ্চকর্মীরা তাকে জোর করে কেবিন ভাড়া নিতে বাধ্য করতে চান। নাবিল তা প্রত্যাখ্যান করলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকজন স্টাফ মিলে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে তার সহপাঠী ও সিনিয়ররা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তখন ৯ জন আহত হন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন নাবিল (ফিন্যান্স, ১৮তম ব্যাচ), শের আলী (আইএমএল, ১৮তম ব্যাচ), ব্রজ গোপাল রায় (সংগীত বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), ওমর ফারুক জিলন (এমসিজে, ১৮তম ব্যাচ), ইমরোজ সিদ্দিক (আইন, ১৯তম ব্যাচ), আনিছ (থিয়েটার, ১৯তম ব্যাচ), টিঙ্কু (ফিলোসফি, ১৮তম ব্যাচ), মাকসুদুল হক (ইসলামিক স্টাডিজ, ১৪তম ব্যাচ), রিহাব (কবি নজরুল কলেজ) ও মুজাহিদ (সোহরাওয়ার্দী কলেজ)। আহতদের সুমনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সদরঘাটের ইজারাদার সুমন ভূঁইয়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, তার ঘনিষ্ঠ কিরণের নেতৃত্বে আজিজুল, রমজান, আনিছ, রফিক, কাদের, রাব্বি ও সাগরসহ কয়েকজন লঞ্চকর্মী হামলায় অংশ নেন।