গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তিতে অসন্তোষ, বাংলাদেশ চায় কঠোর পদক্ষেপ

Published : ১২:৫৫, ১৪ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ প্রস্তাবিত গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সর্বশেষ খসড়া দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধে আরও কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের প্রস্তাব ৫/১৪ অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি প্রণয়নের ম্যান্ডেট রয়েছে। তবে বাংলাদেশ মনে করছে, খসড়াটি এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশের অবস্থান ১৩ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণ বিষয়ক আন্তঃসরকারি আলোচনাসভা (আইএনসি-৫.২)-এর দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশিত হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতে, খসড়া দুর্বল ও অপর্যাপ্ত কারণ এতে সরবরাহপক্ষীয় পদক্ষেপ বাদ রয়েছে। এছাড়া, প্লাস্টিকের পূর্ণ জীবনচক্র, স্বাস্থ্য প্রভাব, ক্ষতিকর রাসায়নিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অগ্রাধিকার এবং আন্তঃসীমান্ত দূষণ রোধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেই। কার্যকর বাস্তবায়নের উপায়ও নির্ভর করছে জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর।
বাংলাদেশের নেতৃত্ব জোর দিয়েছেন, চুক্তির মূল অংশে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক, নিঃসরণ ও প্রাথমিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এটি মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্যতামূলক ভূমিকা রাখতে হবে। অর্থবহ সংশোধন ছাড়া খসড়া সমর্থনযোগ্য নয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জোর দিয়েছেন, নিম্নপ্রবাহী দেশের ঝুঁকি বিবেচনায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সমন্বিত কাঠামোর প্রয়োজন। তিনি সার্কুলার অর্থনীতি মডেল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর বন্ধ, টেকসই পণ্যের নকশা উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরে গুরুত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশের দাবী, ক্ষতিকর প্লাস্টিক পর্যায়ক্রমে বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে উচ্চাভিলাষী ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
BD/AN