ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে নারী কনস্টেবলকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ তার বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে হাজির করা হলে সাফিউর রহমান জানান, ভিকটিমের সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তিনি তাকে বিয়ে করবেন। আদালত জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন, গ্রামের বাড়িতে তিনি একজন স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন, যিনি এক বছর আগে তার স্ত্রী হয়েছেন। বিচারকের প্রশ্ন, “বউ রেখে আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক কেন?” এর জবাবে আসামি বলেন, “ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী তাকে বিয়ে করব।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাফিউর রহমান ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভিকটিমকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার নারী ব্যারার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। এছাড়া গত পাঁচ মাসে প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে ভিকটিমকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। এই সময় তার ব্যবহৃত আইফোনে ভিকটিমের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলও করেছেন।
মামলার পর তাকে মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
