ইউএনওদের আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সিইসির

ইউএনওদের আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সিইসির ছবি: সংগৃহীত

TheBusinessDaily

Published : ১৩:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২৫

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন আইনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের চাপের সামনে নতি স্বীকার না করে, নিজেদের বিচারবুদ্ধি ও আইনের আলোকে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ইউএনওদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল নই। তবে যে জাতি যত বেশি আইন মানে, সেই জাতি ততই সভ্য। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘রুল অব ল’ বা আইনের শাসনকে ব্যক্তির ইচ্ছার চেয়ে এগিয়ে নেওয়া। নির্বাচনকালীন যেকোনো কাজই হতে হবে ন্যায়সংগত, আইনসম্মত, নিরপেক্ষ এবং পেশাদারিত্বপূর্ণ।”

সিইসি ইউএনওদের মনে করিয়ে দেন, নির্বাচনের সময় সমন্বয় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যেহেতু ইউএনওরা উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন, তাই মূল সমন্বয় কার্যভার তাঁদের কাঁধে থাকবে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখুন। এটি সফল নির্বাচন ও নির্বিঘ্ন প্রশাসনের জন্য অপরিহার্য।”

চাপমুক্তভাবে দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি আরও বলেন, “আপনাদের কোনো প্রেশার বা চাপের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না। নিজের বিবেচনায় আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। নির্বাচন কমিশনও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না, এবং কর্মকর্তাদের কখনোই বেআইনি আদেশ দেবে না। কমিশনের সব নির্দেশনা প্রচলিত আইনের আওতায় থাকবে।”

তিনি বলেন, “যদি কোনো সংকট বা সমস্যা দেখা দেয়, তা শুরুতেই চিহ্নিত করে মোকাবিলা করতে হবে। ঘটনার পরে নয়, বরং যথাসময়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি যোগ করেন, “এই ট্রেনিং শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ের জন্য নয়, এটি আপনার পুরো ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শেখার কোনো শেষ নেই। এখানে যা যা শিখবেন, তা গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করুন এবং অর্জিত জ্ঞান অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিন।”

সিইসি আরও জানান, আরপিও (নির্বাচনী আইন) সংশোধনের পর ম্যানুয়াল আপডেট হলে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণে যদি কোনো গ্যাপ বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে, তা অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে—এই আশ্বাসও প্রদান করেন তিনি।

সব মিলিয়ে, সিইসির বার্তা স্পষ্ট— ইউএনওদের দায়িত্ব পালনে আইন, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বই মূল ভিত্তি, এবং কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যক্তি বা রাজনৈতিক চাপের কাছে আপস করা যাবে না।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement