শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৪:২৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণের দ্রুত বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে তারা শিক্ষাভবন মোড় থেকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান এবং সদস্য সচিব মাওলানা মো. আল আমিন।

প্রতিনিধি দলে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতারা ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— নীলফামারী, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ভোলা, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, বরগুনা, সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জ।

এর আগে সকালেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের প্রেস ক্লাবের সামনেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষক ও পুলিশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। এই সময়ে ঘটনাস্থলে জলকামান ও রায়ট কারও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পদযাত্রা আটকে দেওয়ায় প্রেস ক্লাব থেকে পল্টনমুখী সড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান ধর্মঘট থেকে শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান ঘোষণা করেন, যদি সরকার তাদের দাবি না মানে, তবে ২২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।

শিক্ষকরা তাদের দাবিতে বলেন, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরিত ১,৮৯০টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।

তার পাশাপাশি অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে— অনুদানবিহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য পৃথক অধিদপ্তর স্থাপন।

সব মিলিয়ে, আন্দোলনরত শিক্ষকরা দাবি জানাচ্ছেন, জাতীয়করণসহ তাদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে ইবতেদায়ী শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করা যায়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement