প্রধান বিচারপতি: তত্ত্বাবধায়ক ফেরানোর আপিল মামলাই এখন সবচেয়ে বড়

প্রধান বিচারপতি: তত্ত্বাবধায়ক ফেরানোর আপিল মামলাই এখন সবচেয়ে বড় ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:৪৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আপিল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো মামলার আপিল শুনানি করা হবে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “এখন পর্যন্ত এটি দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন মামলা।”

বুধবার (২২ অক্টোবর) এই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবীরা আপিল বিভাগের গাইডলাইন চেয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে নির্দেশ দেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলে কি তা সংসদের ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করবে।

শুনানিতে ড. বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত মোট ১২ জন বিচারপতি মামলাটি শুনেছেন, যার মধ্যে ৮ জন এটি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ চারজন তা বাতিলের পক্ষে ছিলেন।

এর আগে, ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন। পরবর্তী সময়ে নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল করেন।

উল্লেখ্য, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়, কিন্তু ২০০৪ সালে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ ঘোষণা করে।

২০০৫ সালে আপিল করা হয়। ২০১১ সালে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০১৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। এর মধ্যে অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও এ আবেদন করেন।

এই শুনানির মাধ্যমে আপিল বিভাগের রায় প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement