নির্বাচনের সময়ে ভুয়া খবর ছড়ালে ২-৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে

নির্বাচনের সময়ে ভুয়া খবর ছড়ালে ২-৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৫৪, ৪ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে সম্প্রতি প্রণীত ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।

সংশোধিত আরপিওতে ৭৩(ক) ধারা যুক্ত হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময়—যেখানে মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত—যদি কেউ জেনে-বুঝে কোনো প্রার্থী, রাজনৈতিক দল বা নির্বাচন কমিশনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার, নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার বা নির্বাচনি পরিবেশ ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য, ছবি, ভিডিও, অডিও বা অন্য কোনো কনটেন্ট তৈরি, প্রকাশ, বিতরণ বা প্রচার করে, তাহলে তা দুর্নীতিপূর্ণ আচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

এ ধরনের অপরাধে শাস্তি হিসেবে আরপিও ১৯৭২-এর ৭৩ ধারা অনুযায়ী সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

নতুন ধারায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সরঞ্জাম, স্বয়ংক্রিয় বট, ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা সিনথেটিক মিডিয়ার মাধ্যমে তৈরি বিভ্রান্তিকর কনটেন্টকেও অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য কেবল ব্যক্তিগত প্রার্থীর উদ্দেশ্যেই ছড়ানো হলে নয়, বরং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া বা জনমত প্রভাবিত করার লক্ষ্যেও ছড়ালে তা শাস্তিযোগ্য হবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement