আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা (মন্ত্রী পদমর্যাদা) হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন নুরজাহান বেগম। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠানে এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যাচ্ছে জাহিদ মালেকের নাম।
যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর জাহিদ মালেকের স্থলাভিষিক্ত হন ডা. সামন্ত লাল সেন, যিনি নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের নানা রোগনির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা দেওয়া হয়।
কিন্তু রোববার (৯ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির সরকারি ওয়েবসাইটে (https://nilmrc.portal.gov.bd) প্রবেশ করে দেখা যায়, সেখানে এখনও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের নাম প্রদর্শিত হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে এখনও ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের নাম দেখা যাচ্ছে। একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। অথচ তারা সবাই বর্তমানে সাবেক।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের কভার ছবিতেও রয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
জাহিদ মালেকের রাজনৈতিক জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকেও জয়ী হন।
২০১৪ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।


































