প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তিন জেলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয়, কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদী এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ঢাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এছাড়া ভূমিকম্পের পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা শহরের ৩০০টির বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রাজউকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম জানান, সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়। তাই সরকারের প্রতি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় এবং রাজউকে কোনো কাজের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে না।
বাড়িওয়ালারা তাদের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্টের মাধ্যমে প্ল্যান তৈরি করে জমা দেন এবং তা রাজউকের নিয়ম মোতাবেক বাস্তবায়ন করতে হবে। পরবর্তীতে যদি তা না মানা হয়, জরিমানা বা শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব অবশ্যই বাড়িওয়ালাদেরই।
চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় ঢাকা শহরে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়, যা ভূমিকম্প মোকাবিলার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
































