রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন।
আইনজীবীরা জানান, এই আদেশের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি মো. রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার (১০ নভেম্বর) একই আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন বহাল রেখে পূর্বের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, শাহবাগ থানার এই মামলায় অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ দুইজনের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব। ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ আগস্ট।
ঘটনার সূত্রপাত ২৮ আগস্ট, যখন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’ প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই সময় পুলিশ সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়। পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, সেদিন বেলা ১১টার দিকে বাদী দেখতে পান যে ডিআরইউ অডিটরিয়ামে কয়েকজনকে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে এবং লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য রাখছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটি ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে এবং ২৮ আগস্ট গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরসহ ৭০–৮০ জন অংশ নেন। উপস্থিতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে যে লতিফ সিদ্দিকী সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, যা অন্যদেরও প্ররোচিত করে। এ কারণেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দিতে থাকে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, জাকির হোসেন, তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন সুমন, আল আমিন, নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।


































