আজকের আবহাওয়া: ঢাকায় আকাশ হতে পারে মেঘলা

আজকের আবহাওয়া: ঢাকায় আকাশ হতে পারে মেঘলা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০৯:০৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

অনেকে ব্রেড-অমলেটকে সবচেয়ে দ্রুত, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য নাস্তা মনে করেন। এটি তৈরিতে সময় খুব কম লাগে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।

ব্রেডের সুস্বাদু স্বাদ আর ডিমের নরম টেক্সচার একসাথে মিলে একটি অনন্য নাস্তা তৈরি করে। তবে এই সাধারণ খাবারটি যদি প্রতিদিনের নাস্তায় নিয়মিত জায়গা করে নেয়, তাহলে কী প্রভাব হতে পারে তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ।

নিউট্রেসি লাইফস্টাইলের প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ ডা. রোহিনি পাটিল বলেন, “যদি উপকরণ ও পরিমাণ ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে প্রতিদিন সকালে ব্রেড-অমলেট খাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর।”

কোন ব্রেড ব্যবহার করছেন, সেটিই মূল বিষয়
ডা. পাটিল জানান, ডিম উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন-বি, কোলিন এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এগুলো পেশি গঠন, বিপাকক্রিয়া এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক। তাই ব্রেড-অমলেট কতটা পুষ্টিকর হবে, তা নির্ভর করে মূলত কোন ব্রেড ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কীভাবে এটি রান্না করা হচ্ছে।

বিভিন্ন ব্রেডের পুষ্টিগত পার্থক্য:

হোয়াইট ব্রেড: অত্যন্ত পরিশোধিত, ফাইবার কম, দ্রুত হজম হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়, ফলে পেট দ্রুত ক্ষুধা অনুভব করে।

ব্রাউন ব্রেড: হোয়াইট ব্রেডের মতোই, শুধু ক্যারামেল রং মেশানো থাকে। পুরো গমের ময়দা না থাকলে এটি খুব স্বাস্থ্যকর নয়।

হোল হুইট ব্রেড: ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বেশি, ধীরে হজম হয়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। বাজারে এটি সেরা বিকল্প।

মাল্টিগ্রেন ব্রেড: কেবল তখনই উপকারী, যখন এটি ‘হোল গ্রেন মাল্টিগ্রেন’। অনেক বাণিজ্যিক মাল্টিগ্রেন ব্রেড আসলে পরিশোধিত ময়দা দিয়ে তৈরি এবং শুধু উপরিভাগে কিছু বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত তেল ও হোয়াইট ব্রেড এড়িয়ে চলুন
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত তেল, মাখন বা হোয়াইট ব্রেড ব্যবহারের অভ্যাস থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এগুলো ক্যালরি বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে।

মেনুতে পরিবর্তন আনুন, পুষ্টিগুণ বাড়ান
ডা. পাটিলের পরামর্শ, মাঝে মাঝে উপকরণে পরিবর্তন আনা ভালো। অমলেটে বেশি সবজি যোগ করলে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বেড়ে যায়। ঘরে তৈরি অমলেট বাজারের বা রাস্তার অমলেটের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ স্ট্রিট ফুড অমলেট সাধারণত বারবার ব্যবহৃত তেল, অতিরিক্ত মাখন, নিম্নমানের ব্রেড এবং খুব কম সবজি দিয়ে তৈরি হয়, যা ক্যালরি ও ট্রান্স-ফ্যাট বৃদ্ধি করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক
ডিমের উচ্চমানের প্রোটিন শরীরে তৃপ্তি বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং মাঝখানের ক্ষুধা কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে ব্রেড-অমলেটের স্বাস্থ্যকর প্রভাব নির্ভর করে কোন ব্রেড ব্যবহার হচ্ছে এবং কতটা তেল ব্যবহার হচ্ছে তার ওপর।

হোয়াইট ব্রেড + বেশি তেল: ক্যালরি বেশি → দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা

হোল গ্রেন ব্রেড + নিয়ন্ত্রিত তেল: ভালো তৃপ্তি, উন্নত ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ

সিদ্ধান্ত
সঠিক পরিমাণ, কম তেল এবং সবজি ও ফাইবার যুক্ত করে ব্রেড-অমলেট খেলে এটি প্রতিদিনের নাস্তায় থেকেও স্বাস্থ্যকর এবং ওজনবান্ধব হতে পারে। ডা. পাটিল বলেন, “পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, তেলের ব্যবহার সীমিত রাখা এবং ফাইবার বা সবজি যোগ করাই ব্রেড-অমলেটকে পুষ্টিকর ও সুষম নাস্তা বানায়।”

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement