২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে—এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, নিবন্ধিত হজযাত্রীরা এখন হজ পোর্টালে (hajj.gov.bd) প্রবেশ করে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে নিজেদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। পাশাপাশি হজ সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বা নিবন্ধনের অবস্থা জানার জন্য চালু রয়েছে ১৬১৩৬ নম্বরের হজ কল সেন্টার।
মন্ত্রণালয় জানায়, নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ধাপে ধাপে হজ প্যাকেজ, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের বিস্তারিত জানানো হবে। চলতি বছর সৌদি আরব বাংলাদেশকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিলেও নিবন্ধন করেছিলেন ৮৭ হাজার ১০০ জন।
ফলে আগামী বছরের হজ চুক্তিতে চলতি বছরের তুলনায় ৪৮ হাজার ৬৯৮ জনের কোটা কমেছে। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালেও খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা শূন্য ছিল এবং হজে অংশ নিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ মে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি সরকারের নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ছিল, যা পরে আরও চার দিন বাড়ানো হয়।
এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। বিশেষ প্যাকেজে—যেখানে খাওয়া ও কোরবানির ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত—খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সাধারণ প্যাকেজে ব্যয় হতে পারে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সাশ্রয়ী প্যাকেজের খরচ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
সরকারি ব্যবস্থাপনায়ও তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্যাকেজ–১ এ হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা, প্যাকেজ–২ এ ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা এবং প্যাকেজ–৩ এ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা।
এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ‘সাধারণ হজ প্যাকেজ’ নামে আরও একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, যার খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা।

































