পোপ লিও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছেন,
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের উচিত পরিবর্তনের জন্য সংলাপের পথ অনুসরণ করা বা প্রয়োজনে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন মাদুরোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তিনি অবৈধভাবে মাদক সরবরাহে জড়িত, যা যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সমাজতান্ত্রিক নেতা মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং অবৈধ মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।
পোপ লিওকে ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সংলাপের পথ খুঁজে বের করাই উত্তম, প্রয়োজনে চাপ প্রয়োগ করা যেতে পারে, যার মধ্যে অর্থনৈতিক চাপও অন্তর্ভুক্ত।”
তুরস্ক ও লেবানন সফর শেষে দেশে ফেরার পথে বিমানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পোপ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই ভেনিজুয়েলায় পরিবর্তন আনার ইচ্ছা রাখে, তবে ওয়াশিংটনের উচিত আরও অন্যান্য বিকল্প পথ বিবেচনা করা।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পোপ লিও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে ভেনিজুয়েলার বিষয়ে যে বার্তাগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি উল্লেখ করেন, “একদিকে মনে হচ্ছে, দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়েছে”—এটি গত মাসে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে হওয়া সংলাপের প্রতি ইঙ্গিত। অন্যদিকে, ঝুঁকি রয়েছে যে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান বা তৎপরতা ঘটতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বার্তাগুলো বেশ ঘন ঘন পরিবর্তিত হচ্ছে।”
শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করা পোপ লিও, যিনি চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচিত হয়েছেন, লাতিন আমেরিকার সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত। এর কারণ, দীর্ঘকাল পেরুতে ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

































