প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলায় গ্রেপ্তার ৯

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলায় গ্রেপ্তার ৯ ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১৩:২৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারসহ দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম।

এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক এসব হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হন। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি পোস্ট করা হয় এবং তিনি উসকানিমূলক পোস্টও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেন। লুটের টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টেলিভিশন ও একটি ফ্রিজ কেনা হয়, যা পরবর্তীতে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনাক্ত হওয়া বাকি সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে

আরএইচ/ ঢাকা

শেয়ার করুনঃ
Advertisement