দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ উ গ্র প ন্থী দে র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ উ গ্র প ন্থী দে র ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১২:০৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে উগ্রপন্থীদের একটি দল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চানক্যপুরী এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে এ বিক্ষোভ হয় বলে কূটনৈতিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যায়।

এর আগের দিন শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকেও একই স্থানে অনুরূপ একটি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতের ওই ঘটনার খবর রোববার দুপুরে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও শুরুতে ভারত বা বাংলাদেশ—কোনো দেশের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

পরবর্তীতে রোববার বিকেলে প্রথমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ফেসবুকে একটি বিবৃতি দেন। এরপর ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তখন জানা যায়, শনিবার রাতে একদল হিন্দু চরমপন্থী নিরাপত্তা বেষ্টনি অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে অবস্থান নেয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, ওই সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস সংক্রান্ত একটি ঘটনার প্রতিবাদে কিছু যুবক স্লোগান দিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, কেউ নিরাপত্তা বেষ্টনি ভাঙেনি কিংবা কোনো ধরনের সহিংস পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়নি।

ভারতের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা প্রশ্নে ভারতের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল, যা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, শনিবার রাতে একদল ‘হিন্দু চরমপন্থী’ বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেয় এবং হাইকমিশনারকে উদ্দেশ করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। কিছুক্ষণ পর তারা এলাকা ত্যাগ করে।
ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো লিখিত বিবৃতি না এলেও, ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়েছে।

হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভারতে পালিয়েছেন—এমন দাবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement