শীতে কেন তুলসী চা হতে পারে সেরা পানীয়
Published : ০৩:২৩, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
যুগ যুগ ধরে ভেষজ চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে আসা তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি তুলসী চা একটি উপকারী প্রাকৃতিক পানীয়। সর্দি-কাশি উপশম, মানসিক চাপ কমানো ও বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে এই চা অত্যন্ত কার্যকর।
তুলসী চা নিয়মিত পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মন শান্ত থাকে এবং শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে এর স্বাস্থ্যগুণ আরও বহুগুণে বাড়ে।
শীতের সকালে তুলসী চা খাওয়ার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ—
১. ঠান্ডা ও কাশি থেকে সুরক্ষা দেয়
তুলসীর প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শীতকালে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
তুলসী শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে, ফলে শীতকালীন সাধারণ রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
৩. শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা বজায় রাখে
শীতের সকালে তুলসী চা পান করলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে এবং ঠান্ডাজনিত কাঁপুনি ও অস্বস্তি কমে।
৪. হজমশক্তি বাড়ায়
গ্যাস, বদহজম ও পেট ফাঁপার সমস্যায় তুলসী চা বেশ উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে ভারী খাবারের পর এটি হজমে সহায়তা করে।
৫. মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করে
তুলসী একটি প্রাকৃতিক স্ট্রেস রিলিভার। সকালে এক কাপ তুলসী চা মনকে শান্ত করে, ক্লান্তি দূর করে এবং দিন শুরু করতে সতেজতা এনে দেয়।
যেভাবে তুলসী চা প্রস্তুত করবেন—
উপকরণ:
পানি, তাজা তুলসী পাতা, আদা কুচি, মধু ও লেবুর রস।
প্রস্তুত প্রণালী:
একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে তুলসী পাতা ও আদা কুচি যোগ করুন। প্রায় ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে কাপে ঢালুন। গরম থাকা অবস্থায় স্বাদ অনুযায়ী মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
কাদের জন্য সতর্কতা প্রয়োজন—
যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট) গ্রহণ করেন, তাদের তুলসী চা পান করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ তুলসীর প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন, কারণ তুলসী রক্তে শর্করা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
বিডি/এএন


































