ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের একটি ভিডিওবার্তা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর ঢাকাভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ডিসেন্ট নিশ্চিত করেছে, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নয়।
দ্য ডিসেন্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ভিডিওতে ফয়সালের চেহারা, মুখভঙ্গি এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য তার বাস্তব উপস্থিতির সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়। ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা শব্দ ও চারটি নির্ভরযোগ্য এআই শনাক্তকারী টুল ব্যবহার করে পরীক্ষা করার পরও নিশ্চিত করা হয়েছে, ভিডিওটি কোনোভাবেই এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট নয়।
ভিডিওর কিছু অংশে ফয়সালের থুতনিতে থাকা দাড়ি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে, তবে এটি ভিডিও ধারণের সময় ব্যবহৃত ফিল্টারের কারণে, যা ভিডিওকে এআই তৈরি বলার যথেষ্ট কারণ নয়।
ভিডিওতে ফয়সাল উল্লেখ করেছেন, তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তবে শুধু ভিডিওর ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এছাড়া ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। দ্য ডিসেন্টের বিশ্লেষণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, হত্যার সময় গুলি চালিয়েছিলেন ফয়সাল করিম এবং বাইক চালাচ্ছিলেন তার সহযোগী আলমগীর শেখ।
ভিডিওতে ফয়সাল আরও দাবি করেছেন, হাদি অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তবে দ্য ডিসেন্ট জানাচ্ছে, হাদির মৃত্যুর পর এ ধরনের অভিযোগ যাচাই বা প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া, হাদির জীবদ্দশায় তার বিরুদ্ধে তদবির বা আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি। বরং তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সরব ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে ফয়সালের দাবি যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে হচ্ছে।




























