বহিষ্কার হলেও নির্বাচন থেকে সরছেন না রুমিন ফারহানা

বহিষ্কার হলেও নির্বাচন থেকে সরছেন না রুমিন ফারহানা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:৪৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিনেই নিজের দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ ও সংকেতবহ বলে মনে করছেন সদ্য বহিষ্কৃত সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই অনুভূতির কথা জানান।

রুমিন ফারহানা বলেন, খালেদা জিয়ার ইন্তেকালের দিনেই দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পাওয়া তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও বিস্ময়কর অধ্যায়গুলোর একটি। তবে বহিষ্কৃত হলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসছেন না বলেও স্পষ্ট করে দেন।

নিজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, রাজনীতিতে আপস না করে একা দাঁড়িয়ে থাকার সাহস ও শিক্ষা তিনি পেয়েছেন খালেদা জিয়ার কাছ থেকেই। যে নেত্রীর আদর্শে তিনি রাজনীতি করেছেন, যার স্নেহ ও অভিভাবকত্বে রাজনৈতিকভাবে বেড়ে উঠেছেন, সেই নেত্রীর মৃত্যুর দিনেই নিজের বহিষ্কারকে তিনি কেবল কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে দেখতে পারছেন না।

খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি তার রাজনৈতিক অভিভাবককে হারিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আদর্শই ছিল তার রাজনীতির মূল প্রেরণা এবং সেই আদর্শ অনুসরণ করেই তিনি রাজপথে চলেছেন বলে জানান। তার মতে, খালেদা জিয়ার মৃত্যু শুধু দলের নয়, দেশের রাজনীতির জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।

তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কয়েক দিন আগে, ২০ নভেম্বর, তার সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল। সে সময় খালেদা জিয়া জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি—এই প্রশ্নটিই তার সঙ্গে শেষ কথোপকথনের স্মৃতি হিসেবে উল্লেখ করেন রুমিন ফারহানা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এক ধরনের আপসহীনতারই প্রকাশ। জোয়ারের বিপরীতে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার সাহস তিনি তার নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছেন।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে মঙ্গলবার রুমিন ফারহানাসহ মোট নয়জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃতদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি সরাসরি সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, ওই আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement